বেগুনি মাটির চায়ের পাত্র কত বছর টিকতে পারে?

কত বছর ধরে একটিবেগুনি মাটির চা-পাতাশেষ? বেগুনি মাটির চা-পাতার কি কোনও আয়ুষ্কাল থাকে? বেগুনি মাটির চা-পাতার ব্যবহার বছরের সংখ্যার দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়, যতক্ষণ না সেগুলি ভাঙা না হয়। যদি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তবে সেগুলি ক্রমাগত ব্যবহার করা যেতে পারে।

বেগুনি মাটির চা-পাতার জীবনকাল কী প্রভাবিত করবে?

১. পড়ে যাওয়া

বেগুনি মাটির চা-পাতা পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সিরামিক পণ্যের ক্ষেত্রে, একবার ভেঙে গেলে, সেগুলোকে তাদের আসল চেহারায় ফিরিয়ে আনা যায় না - এমনকি যদি ভাঙা বেগুনি মাটির চা-পাতাটি চীনামাটির বাসন বা সোনার খড়ের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে মেরামত করা হয়, তবুও ভাঙা অংশের সৌন্দর্যই থেকে যায়। তাহলে কীভাবে পতন রোধ করবেন?
চা ঢালার সময়, অন্য আঙুল দিয়ে পাত্রের বোতাম বা ঢাকনা টিপুন এবং খুব বেশি নড়াচড়া করবেন না। চা ঢালার সময়, চায়ের পাত্রটি সবসময় হাতে থাকে এবং অনেক সময় চা ঢালার সময় ঢাকনাটি খুলে পড়ে যায়। চায়ের পাত্র বিক্রেতাদের ছোট ছোট কৌশল, যেমন ঢাকনা ঢাকতে না পারা বা ঢাকনা উল্টে দেওয়া, কখনোই অনুকরণ করবেন না। এগুলো সবই প্রতারণামূলক কৌশল। ভুলবশত আপনার প্রেমের পাত্র নষ্ট করবেন না, ক্ষতির কোনো মূল্য নেই।
এটি যতটা সম্ভব উঁচুতে বা ক্যাবিনেটে রাখুন, শিশুদের নাগালের বাইরে, এবং রুক্ষ হাত বা পা আছে এমন কাউকে কখনই পাত্রটি স্পর্শ করতে দেবেন না।

2. তেল
যারা খেলতে পছন্দ করেইক্সিং চা-পাতাজেনে রাখুন যে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের পরে, বেগুনি মাটির চা-পাতার পৃষ্ঠে একটি সূক্ষ্ম এবং অন্তর্মুখী দীপ্তি দেখা যাবে, যা সাধারণত "প্যাটিনা" নামে পরিচিত। তবে এটা বোঝা উচিত যে বেগুনি মাটির চা-পাতার "প্যাটিনা" আমরা সাধারণত যা "চর্বিযুক্ত" বলি তার থেকে অনেক আলাদা। তাছাড়া, শক্তিশালী শোষণকারী বেগুনি মাটির পাত্রগুলি তেলের ধোঁয়াকেও খুব ভয় পায়, তাই বেগুনি মাটির পাত্রগুলিকে আরও চকচকে দেখানোর জন্য তাদের পৃষ্ঠে বিভিন্ন তেল এবং চর্বি না লাগানো আরও গুরুত্বপূর্ণ।

বেগুনি মাটির চা-পাতার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হওয়ার পরিবর্তে লালিত-পালিত হয়। বেগুনি মাটির পাত্র তেলে দূষিত হয়ে গেলে, "চোরের আলো" নির্গত করা এবং ফুলের দাগযুক্ত পাত্র গজানো সহজ হয়। পাত্রের ভেতর এবং বাইরের অংশ গ্রীস দ্বারা দূষিত হওয়া উচিত নয়।
প্রতিবার চা পানের সময়, হাত পরিষ্কার করা এবং চা ব্যবহার করা প্রয়োজন, প্রথমত, চা দুর্গন্ধ দ্বারা দূষিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য; দ্বিতীয়ত, চা-পাতার পাত্রগুলি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যেতে পারে। চা পান করার সময় পরিষ্কার হাতে চা-পাতার পাত্রটি ঘষে খেলা করা খুবই প্রয়োজন।

আরও একটি বিষয়: বেশিরভাগ বাড়িতে, রান্নাঘর হল সবচেয়ে বেশি তেলের ধোঁয়া নির্গত হয়; তাই, বেগুনি মাটির চা-পাতাকে আরও পুষ্টিকর এবং আর্দ্র করার জন্য, এটি রান্নাঘর থেকে দূরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. গন্ধ

উপরে উল্লিখিত হিসাবে, বেগুনি মাটির চা-পাতার শোষণ ক্ষমতা খুবই শক্তিশালী; তেল শোষণ করা সহজ হওয়ার পাশাপাশি, বেগুনি মাটির চা-পাতাগুলি গন্ধ শোষণ করতেও সহজ। শক্তিশালী স্বাদ শোষণ ফাংশন, যা মূলত চা তৈরি এবং পাত্র রাখার জন্য একটি ভাল জিনিস; তবে যদি এটি একটি মিশ্র বা অস্বাভাবিক গন্ধ হয়, তবে এটি এড়িয়ে চলতে হবে। তাই, বেগুনি মাটির চা-পাতাগুলিকে রান্নাঘর এবং বাথরুমের মতো তীব্র গন্ধযুক্ত স্থান থেকে দূরে রাখতে হবে।

৪. ডিটারজেন্ট

আমরা দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করছি যে আপনি পরিষ্কার করার জন্য রাসায়নিক পরিষ্কারক ব্যবহার করবেন না, এবং বেগুনি মাটির চা-পাতা ঘষতে কখনও থালা ধোয়ার ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিক পরিষ্কারক ব্যবহার করবেন না। এটি কেবল চা-পাতার ভিতরে শোষিত চায়ের স্বাদই ধুয়ে ফেলবে না, বরং এটি চা-পাতার পৃষ্ঠের দীপ্তিও নষ্ট করে দিতে পারে, তাই এটি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত।
যদি পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে পরিষ্কারের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৫. কাপড় বা স্টিলের তারের বল পালিশ করা

কখনবেগুনি মাটির পাত্রদাগ আছে, সেগুলো পরিষ্কার করার জন্য পলিশিং কাপড় বা হীরার বালিযুক্ত স্টিলের তারের বল ব্যবহার করবেন না। যদিও এই জিনিসগুলি দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, তবে এগুলি সহজেই চা-পাতার পৃষ্ঠের কাঠামোর ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে এর চেহারা প্রভাবিত হয়।
সবচেয়ে ভালো হাতিয়ার হলো মোটা এবং শক্ত সুতির কাপড় এবং নাইলনের ব্রাশ, এমনকি এই হাতিয়ারগুলো ব্যবহার করলেও, নিষ্ঠুর শক্তি ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু সূক্ষ্ম বেগুনি মাটির চা-পাতার শরীরের আকৃতি জটিল থাকে এবং পরিষ্কার করার সময় নকশাগুলি পরিচালনা করা কঠিন। চিকিৎসার জন্য আপনি একটি দাঁতযুক্ত তরঙ্গ টুথব্রাশ বেছে নিতে পারেন।

৬. তাপমাত্রার বড় পার্থক্য

সাধারণত, চা তৈরির সময়, ৮০ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার জল প্রধানত ব্যবহার করা হয়; এছাড়াও, সাধারণ বেগুনি মাটির চা-পাতার জন্য আগুনের তাপমাত্রা ১০৫০ থেকে ১২০০ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। তবে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। যদি অল্প সময়ের মধ্যে (হঠাৎ ঠান্ডা এবং গরম করার) তাপমাত্রার বড় পার্থক্য হয়, তাহলে কিছু বেগুনি মাটির পাত্র ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে (বিশেষ করে পাতলা দেহযুক্ত বেগুনি মাটির পাত্র)। তাই, অব্যবহৃত বেগুনি মাটির চা-পাতাগুলিকে সতেজতার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন নেই, উচ্চ-তাপমাত্রার জীবাণুমুক্তকরণের জন্য মাইক্রোওয়েভে তো দূরের কথা। এগুলি কেবল ঘরের তাপমাত্রায় রাখতে হবে।

৭. সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা

বেগুনি মাটির চা-পাতা ব্যবহার করার সময়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছ কাঠামোর কারণে, সাধারণত এর কোনও প্রভাব পড়ে না। তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, চা-পাতা যতটা সম্ভব সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখা এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় এটি চা-পাতার পৃষ্ঠের চকচকেতার উপর একটি নির্দিষ্ট প্রভাব ফেলবে। নিয়মিত পরিষ্কারের পরে, চা-পাতা রোদে শুকানোর প্রয়োজন হয় না, শুকানো তো দূরের কথা। এটি কেবল একটি শীতল পরিবেশে স্থাপন করা এবং প্রাকৃতিকভাবে নিষ্কাশন করা প্রয়োজন।

বেগুনি মাটির চা-পাতার আয়ুষ্কাল কীভাবে বাড়ানো যায়?

১. বেগুনি মাটির চায়ের পাত্রটি রাখার ভালো জায়গা কোথায়?

বেগুনি মাটির চা-পাতা কখনোই সংগ্রহশালায় দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা উচিত নয়, এবং অন্যান্য জিনিসের সাথে একসাথে রাখা উচিত নয়, কারণ বেগুনি মাটি "দূষণ" থেকে ভয় পায় এবং খুব সূক্ষ্ম, সহজেই অন্যান্য গন্ধ দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং শোষিত হয়, যার ফলে চা তৈরি করার সময় একটি অদ্ভুত স্বাদ তৈরি হয়। যদি খুব আর্দ্র বা খুব শুষ্ক জায়গায় রাখা হয়, তবে এটি বেগুনি মাটির চা-পাতার জন্য ভালো নয়, যা সহজেই তাদের গন্ধ এবং দীপ্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়াও, বেগুনি মাটির চা-পাতা ভঙ্গুর, তাই যদি আপনার বাড়িতে শিশু থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় বেগুনি মাটির চা-পাতা নিরাপদ স্থানে রাখতে ভুলবেন না।

২. এক পাত্রে কেবল এক ধরণের চা তৈরি হয়

কিছু লোক সময় বাঁচানোর জন্য, সবসময় টাই গুয়ান ইয়িন ভিজিয়ে রাখার পর পাত্রে চা পাতা ঢেলে, জল দিয়ে ধুয়ে, এবং তারপর পু এর চা তৈরি করতে পছন্দ করে। কিন্তু যদি আপনি এটি করেন, তাহলে এটি ঠিক নয়! কারণ বেগুনি মাটির চা-পাতার বাতাসের ছিদ্রগুলি টাই গুয়ান ইয়িনের সুগন্ধে পূর্ণ থাকে, তারা মিলিত হওয়ার সাথে সাথে একে অপরের সাথে মিশে যায়! এই কারণে, আমরা সাধারণত "এক পাত্র, এক ব্যবহার" সুপারিশ করি, যার অর্থ হল একটি বেগুনি মাটির পাত্র কেবল এক ধরণের চা তৈরি করতে পারে। তৈরি করা বিভিন্ন ধরণের চা-পাতার কারণে, স্বাদ মিশ্রিত করা সহজ, যা চায়ের স্বাদকে প্রভাবিত করে এবং বেগুনি মাটির চা-পাতার দীপ্তিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রভাব ফেলে।

৩. ব্যবহারের ফ্রিকোয়েন্সি যথাযথ হওয়া উচিত

কিছু পুরনো চা পানকারীদের কাছে সারাদিন চা পান করা সাধারণ ব্যাপার বলা যেতে পারে; আর কিছু বন্ধু যারা দীর্ঘদিন ধরে চা পান করেননি, তাদের হয়তো নিয়মিত চা পানের অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। যদি আপনি চা তৈরির জন্য বেগুনি মাটির চা-পাতা ব্যবহার করেন, তাহলে চা তৈরির একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি বজায় রাখা এবং অধ্যবসায় অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়; কারণ যদি চা তৈরির ফ্রিকোয়েন্সি খুব কম হয়, তাহলে বেগুনি মাটির চা-পাতা খুব শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, অন্যদিকে ব্যবহারের ফ্রিকোয়েন্সি খুব বেশি হলে, বেগুনি মাটির চা-পাতা আর্দ্র পরিবেশে থাকবে এবং সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে সহজেই দুর্গন্ধ বের হতে পারে। তাই, আপনি যদি একটি চা-পাতা রাখতে চান, তাহলে "দিনে একবার ভিজিয়ে রাখার" ফ্রিকোয়েন্সি বজায় রাখা ভালো।

৪. গরম পানি ব্যবহারে অবিচল থাকুন

বেগুনি মাটির চা-পাতার পাত্র তৈরির শুরু থেকে শুরু করে তৈরি, পরিষ্কার করা এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া পর্যন্ত ঠান্ডা জল ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, যে জল ফুটানো হয়নি তা বেশিরভাগই শক্ত এবং এতে অনেক অমেধ্য থাকে, যা চা-পাতা আর্দ্র করার জন্য বা চা তৈরি করার জন্য অনুপযুক্ত করে তোলে। পাত্রটি বজায় রাখার জন্য ঠান্ডা জলের পরিবর্তে শুধুমাত্র গরম জল ব্যবহার করলে পাত্রের দেহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে স্থির রাখা যায়, যা চা তৈরির জন্য উপকারী।

সামগ্রিকভাবে, বেগুনি মাটির চা-পাতা কত বছর ব্যবহার করা যেতে পারে তার কোনও সীমা নেই। যে ব্যক্তি চা-পাতা ভালোবাসেন তিনি অবশ্যই এগুলি রক্ষা করবেন এবং তাদের আয়ু বৃদ্ধি করবেন!